মাড়িয়া মোড় এর একটা ইতিহাস রয়েছে । এই মোড়টা মুলত ১ নং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের সীমানায় অবস্থিত । কিন্ত এই মোড়ে মাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন মানূষের আনাগোনা আর বিচরন বেশী । এছাড়াও এখানে আরও অন্যান্য গ্রামের মানুষও উঠাবসা করে। আর এলাকার স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জা্না যায়, মোড়টি মাড়িয়া গ্রামের ভেতর হতে পুর্ব দিকে চলে আসে আর মাড়িয়া মোড় হতে মাড়িয়া ৩ টি প্রতিষ্ঠান খুব নিকটে হওয়ার কারনে সবার মুখে মুখে এই নামটি প্রচলন ঘটে । আর সেই মারফতে পশ্চিম দৌলতপুর মোজায় থাকার পরও মোড়টি আজও মাড়িয়া মোড় হিসেবে পরিচিত । কেউ যদি মাড়িয়া মোড় আসেন তবে একবারের জন্য হলেও নিজেকে একটু আলাদা ভাববেন । প্রকৃতপক্ষে মাড়িয়া মোড়ের পরিধি খুব ব্যাপক নয় । সামন্য কিছু জমির উপর দাড়িয়ে আছে এই ছোট মোড়টি যা একেবারেই ব্যতিক্রম । মাড়িয়া মোড়ে প্রায় ৩০-৪০ টি দোকানঘর আছে যা এমনভাবে সাজানো যেন গোল বৃত্তকার একটা চাকতির মতো। চারদিকে দোকাপাঠ আর প্রতিটি দোকানের ধার ঘেষে বড় বড় গাছের অবস্থান । মাড়িয়া মোড়ের সবচেয়ে শোভা বর্ধনকারী দৃশ্যটা হলো এখানে একটি বিশাল বটবৃক্ষ । এই বটবৃক্ষটি অনেক পুরাতন । প্রায় ২ শতাংশ জায়গা জুড়ে এর অবস্থান । বয়সের বারে নুয়ে পড়া এই গাছটিই মোড়ের আসল আকর্ষন । বিশাল বিস্তৃত পত্ররাশির সশীতল ছায়া আর তার গোড়ালি চারদিকে ইট পাথরে বাধা । গিাছটির চারদিকে দোকানঘরগুলো যেন সাপের মতো জড়িয়ে আছে । মাড়িয়া মোড় হতে ৩ দিক ৩ রোড যার উত্তর দিকে হাট গাঙ্গোপাড়া বাজর রোড,দক্ষিনে দামনাশ কলেজ রোড, আর পশ্চিমে বানইল বাজার রোড । ৩ দিক থেকে আসা মানুষের ঢল নামে এই মোড়ে। প্রতিদিন প্রায় সহস্র মানুষ এখানে বিভিন্ন প্রয়াজনে পাড়ি জমায় । দিনের বেলায় নানান ধরনের মানুষ এসে এই গাছের ছায়ায় বসে ঠান্ডা বাতাস খায় । কৃষক,শ্রমিক,ছাত্র,শিক্ষক,অবাল,বৃদ্ধ,বনিতা সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এখানে সকাল হতে রাত ১২ টা পর্যন্ত সময় কাটায় । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের এই মোড়ে কোন সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই । হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ,খৃষ্টান
কোন ভেদাভেদ নেই একানে । সম্প্রিতির এক বিশাল নজির এখানে দেখতে পাওয়া যায় । মাড়িয়া মোড়ের উপর রয়েছে একটা মসজিদ,একটা পাবলিক টয়লেট ও পুর্ব পাশে রয়েছে একটা জামের বাগান । উত্তর দিকে হাট গএঙ্গাপাড়া রোড । এই রোডের দুই ধারে রয়েছে নিম,মেগুনি,আম,শিশুর গাছ যা অপরুপ সৌন্দর্য ধারন করে আছে। যে কেউ ৫ মিনিট এই পথে পড়ন্ত বিকেলে কিংবা উত্তপ্ত দুপরে হাটলেও অনাবিল সুশীতল ছায়ার পরশে নিজেকে আলিঙ্গন করাতে পারবেন এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই । সর্বপরি মাড়িয়া মোড়ের সার্বিক পরিবেশ উপলব্ধি করেই আমি এমন সিদ্ধান্তে নিজেকে নিয়োজিত করেছি যে ১ নং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হিসেবে মাড়িয়া মোড়কেই মুল্যায়িত করা প্রয়োজন যা আমি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি । আমি মনে করি আগামীতে এই মাড়িয়া মোড় একটি মডেল মোড়ে পরিনত হবে । আজ মাড়িয়া মোড় এমন একটা স্থান যা কারও নজরে দর্শনীয় হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে । হয়তো অন্যান্য এলাকার দর্শনীয় স্থানের মতো এটা নয় তবে এই মোড় যে যেকোন মানুষের মন মাত্র কয়েক মিনিটে জয় করবে এটা আমি দৃঢতার সাথে বলতে পারি । হাতে সময় থাকলে একবার সময় কাটিয়ে আসতে পারেন । ঘুরে এস যদি ভাল লাগে তবে আমাকে জানাবেন।
প্রকাশে
মো: জুয়েল হোসেন
উদ্যোক্তা
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র
১ নং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
বাগমারা-রাজশাহী।
মোবা্ইল নং ০১৭২৩৭৪৬৬১৬
অথবা
ই-মেইল করুন
hmjewelbd@gmail.com
যদি আপনদের কোন তথ্য দেওয়ার থাকে তবে উপরোক্ত ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন । আপনদের সুচিন্তিত মতামত আমদের একান্ত কাম্য ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS